![]() |
স্বৈরাচার সরকার পুলিশকে দিয়ে একটি ন্যায্য আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি |
এই গণ-অভ্যুত্থান কোনো দলমত কিংবা গোষ্ঠীর নয়: উপদেষ্টা নাহিদ
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান কোনো দলমত কিংবা গোষ্ঠীর নয় দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গোলাম নাফিজের স্মরণসভায় তিনি এ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরাই দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করেছে দাবি করে নাহিদ বলেন, গণ-আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছেন। আন্দোলনে নিহত শহীদরাই অভ্যুত্থান এনেছেন। তাদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই।’
‘আন্দোলনের প্রধান কারিগর শহীদরা আর আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড জনগণ, যোগ করেন তিনি।
স্বৈরাচার সরকার পুলিশকে দিয়ে একটি ন্যায্য আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করেছে অভিযোগ করে নাহিদ বলেন, ‘কেবল জুলাই-আগস্ট নয়, গত ১৬ বছর ধরেই বাংলাদেশে নিষ্ঠুরতা চলছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত নাফিজের মরদেহের মর্মান্তিক ছবি দেখলে আর কিছু বলার অবকাশ থাকে না। তাকে হাসপাতালে নেয়ার মতোও কেউ ছিল না।’
শহীদদের চেতনা ধারণ করে দেশ পরিচালনা করারর অঙ্গীকার করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের নামে কেবল কয়েকটা ভবনের নামকরণ করে কিছু হবে না। তাদের চেতনা ধারণ করতে হবে।’
রাষ্ট্রের পাশাপাশি সমাজ ও ব্যক্তির সংস্কার প্রয়োজন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘আগের বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার ছিল না। আমরা নতুন বাংলাদেশে এসব চাই।’
বার বার গণতন্ত্রের জন্যই রক্ত দিতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। কিন্তু তাদের দোসররা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিস্টদের প্রতি কোনো উদারতা দেখানো হবে না। গোটা পৃথিবীর জন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ছাত্র-আন্দোলনে নিহত মুগ্ধর জমজ ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘নাফিজের মাথায় বাংলাদেশের পতাকা, রিকশায় তার নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই শহীদদের আমরা কখনও ভুলব না। রাষ্ট্রকেও ভুলতে দেব না।
নাফিজের বাবা গোলাম রহমান বলেন, ‘ফার্মগেটে আন্দোলন করছিল আমার ছেলে। বন্ধুর ফোনে সবশেষ কথা হয় তার সঙ্গে। সারাদিন সারারাত থানা আর হাসপাতালে অনেক খোঁজাখুঁজি পরও ছেলেকে পাচ্ছিলাম না। পরে পত্রিকায় ছবি দেখে জানতে পারি আমার নাফিজ মারা গেছে। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালেরি মর্গে গিয়ে তার মরদেহ পাই। পুলিশ ও ছাত্রলীগের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাবা হিসেবে ছেলের রক্তাক্ত মুখ দেখতে পারিনি। ওই মুখ এখনও রাতে ঘুমাতে পারি না।’
Shawon 1.1
News
#news
0 মন্তব্যসমূহ